সরকারিভাবে কোনো বালুর মহাল না থাকলেও লালমনিরহাটের সদর উপজেলায় ধরলা নদীর পাড়ে প্রকাশ্যেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি চলছে। এর ফলে নদীর তীরবর্তী পরিবেশ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি এবং ওয়াপদা বাঁধ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ প্রতিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই বালু সিন্ডিকেট এর পিছনে হাত কার?
সরেজমিন দেখা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা (ছয়মাথা)য় প্রতিদিন কিছু শ্রমিক নদীর পাড়ে পার্কিং করা মালবাহী ট্রাকে বালু সরবরাহ দিচ্ছে। যা পরিবহন যোগে অনত্র্য বিক্রয়ের জন্য নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের শেষ দিকে নদী পাড়ের ওইসব বালুচর এলাকা থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়। বহিরাগত প্রভাবশালী ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সহায়তায় বালু উত্তোলন করছেন।
উল্লেখ্য যে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ওয়াপদা বাঁধ হুমকির মুখে অথচ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ নেই, নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।